০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ: গভর্নর

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • 18

গভর্নর মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হচ্ছে। তবে এর ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। আগামী নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।

ব্যাংকের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখার কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে বেশি রয়েছে, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন গভর্নর

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আমাদের।

এর আগে, আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের মালিকানায় এনে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করা হবে। তবে এসব হবে সাময়িক সময়ের জন্য। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে রেখেছে। নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে।

আরো পড়ুন: ‘বর্তমান পুলিশ মানবিক এবং আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়’

তিনি আরও বলেন, তবে সরকারের হাতে ব্যাংকগুলো টেম্পোরারি (সাময়িক) থাকবে। তারপর আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারগুলোকে পাবলিকের কাছে হস্তান্তর করব। আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করব। তবে এমনটা করা হবে ব্যাংক রি অর্গানাইজেশন হওয়ার পরে।

ব্যাংক গুলোর ক্যাপিটাল অ্যাডোকেসি রেশিও চার বছরের মধ্যে ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।

ছয় ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাকি ব্যাংকটি নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ: গভর্নর

সর্বশেষ আপডেট : ০৬:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হচ্ছে। তবে এর ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। আগামী নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।

ব্যাংকের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখার কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে বেশি রয়েছে, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন গভর্নর

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আমাদের।

এর আগে, আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের মালিকানায় এনে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করা হবে। তবে এসব হবে সাময়িক সময়ের জন্য। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে রেখেছে। নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে।

আরো পড়ুন: ‘বর্তমান পুলিশ মানবিক এবং আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়’

তিনি আরও বলেন, তবে সরকারের হাতে ব্যাংকগুলো টেম্পোরারি (সাময়িক) থাকবে। তারপর আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারগুলোকে পাবলিকের কাছে হস্তান্তর করব। আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করব। তবে এমনটা করা হবে ব্যাংক রি অর্গানাইজেশন হওয়ার পরে।

ব্যাংক গুলোর ক্যাপিটাল অ্যাডোকেসি রেশিও চার বছরের মধ্যে ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।

ছয় ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাকি ব্যাংকটি নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।