১০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

হামলার ভয়াবহতার খবর ফাঁস করেছে ইসরায়েলি নাগরিক

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ১০:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • 22

ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলের একটি ভবন। ছবি : বিবিসি

ইরানের হামলায় কতটা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই বলছে না ইসরায়েল। বরং ক্ষয়ক্ষতির খবর গোপন করার দিকে বেশি মনোযোগী নেতানিয়াহু সরকার।

তবে নাগরিকদের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে যাচ্ছে ভেতরের খবরাখবর।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেল আবিবের শহরতলী রিশন লেজিওন বাসিন্দা ইফাত বেনহাইম হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে তুলে ধরেন।

শুক্রবার রাতে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে উঠলে পরিবারসহ বাসার বেসমেন্টে ছুটে যান ইফাত বেনহাইম।

তিনি বলেন, আমরা দরজা বন্ধ করে দিই, এবং হঠাৎই একটা বিশাল শব্দ শুনতে পাই।

‘ তখন আমি ভেবেছিলাম পুরো বাড়িটাই হয়তো আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। এবং তারপর পুরোই অন্ধকার,’ বলেন ইফাত।

এই ঘটনার পর বাইরে বেরিয়ে, তারা আশেপাশের এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পান।

আরও পড়ুন : আয়রন ডোম চুরমার, সদরদপ্তর শেষ করে দিয়েছে ইরান

অনেকগুলো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, রাস্তায় কাঁচ পড়ে আছে এবং কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙা জানালা এবং দেয়ালে বিশাল ছিদ্র।

তার দুই প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন, নিয়মিত রাস্তায় দেখা হলে যাদেরকে সে হ্যালো বলতো।

তার ভাষায়, ‘এটি একটি ট্র্যাজেডি।’

শুক্রবার রাতের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি তেল আবিবের ঠিক বাইরে অবস্থিত রিশন লেজিওন শহর।

এখন ২৯ বছর ধরে বসবাস করা বাড়িটি থেকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ইফাত, তার স্বামী জিওন এবং কম বয়সী ছয়জন আত্মীয়। আর এটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন যে, আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

হামলার ভয়াবহতার খবর ফাঁস করেছে ইসরায়েলি নাগরিক

সর্বশেষ আপডেট : ১০:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ইরানের হামলায় কতটা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই বলছে না ইসরায়েল। বরং ক্ষয়ক্ষতির খবর গোপন করার দিকে বেশি মনোযোগী নেতানিয়াহু সরকার।

তবে নাগরিকদের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে যাচ্ছে ভেতরের খবরাখবর।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেল আবিবের শহরতলী রিশন লেজিওন বাসিন্দা ইফাত বেনহাইম হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে তুলে ধরেন।

শুক্রবার রাতে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে উঠলে পরিবারসহ বাসার বেসমেন্টে ছুটে যান ইফাত বেনহাইম।

তিনি বলেন, আমরা দরজা বন্ধ করে দিই, এবং হঠাৎই একটা বিশাল শব্দ শুনতে পাই।

‘ তখন আমি ভেবেছিলাম পুরো বাড়িটাই হয়তো আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। এবং তারপর পুরোই অন্ধকার,’ বলেন ইফাত।

এই ঘটনার পর বাইরে বেরিয়ে, তারা আশেপাশের এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পান।

আরও পড়ুন : আয়রন ডোম চুরমার, সদরদপ্তর শেষ করে দিয়েছে ইরান

অনেকগুলো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, রাস্তায় কাঁচ পড়ে আছে এবং কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙা জানালা এবং দেয়ালে বিশাল ছিদ্র।

তার দুই প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন, নিয়মিত রাস্তায় দেখা হলে যাদেরকে সে হ্যালো বলতো।

তার ভাষায়, ‘এটি একটি ট্র্যাজেডি।’

শুক্রবার রাতের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি তেল আবিবের ঠিক বাইরে অবস্থিত রিশন লেজিওন শহর।

এখন ২৯ বছর ধরে বসবাস করা বাড়িটি থেকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ইফাত, তার স্বামী জিওন এবং কম বয়সী ছয়জন আত্মীয়। আর এটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন যে, আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন।