০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নতুন যুদ্ধের শঙ্কায় ইরাকের দূতাবাস থেকে কর্মী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • 29

ইসরায়েল যে কোনো সময় ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে। ফলে ইরানে নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সরকারি একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করলেও ঠিক কী কারণে এই অপসারণ তা বলেননি কর্মকর্তারা।

তবে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছে ইসরায়েল ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত। তাই অপ্রয়োজনীয় দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১১ জুন) থেকে কর্মী সরিয়ে নেওয়ার এ কার্যক্রম শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই কিছু আমেরিকানকে এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইরাকের কিছু মার্কিন স্থাপনায় ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন আলোচনা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে স্থগিত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

সিবিএস-কে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ রোববার (১৫ জুন) ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন। উইটকফ মাস্কাটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে দেখা করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আমরা আমাদের সকল দূতাবাসে কর্মীদের অবস্থান ক্রমাগত মূল্যায়ন করছি। আমাদের সর্বশেষ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আমরা ইরাকে আমাদের মিশন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করুক তা তারা কিছুতেই চায় না। এ জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়।

আলোচনায় প্রস্তাব আসে, সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধের বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সে সঙ্গে হুমকি আসে, আলোচনা ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না।

এ পরিস্থিতিতে পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে বলেছেন, সংঘাত বাঁধলে দেশটি আশপাশের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে।

সেসব ঘাঁটি কোন দেশে অবস্থিত সেটাও বিবেচনা করবে না আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেশ। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোনো সংঘাত বাধে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারণ তাদের সব সামরিক ঘাঁটিই আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

নতুন যুদ্ধের শঙ্কায় ইরাকের দূতাবাস থেকে কর্মী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সর্বশেষ আপডেট : ০১:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ইসরায়েল যে কোনো সময় ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে। ফলে ইরানে নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সরকারি একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করলেও ঠিক কী কারণে এই অপসারণ তা বলেননি কর্মকর্তারা।

তবে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছে ইসরায়েল ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত। তাই অপ্রয়োজনীয় দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১১ জুন) থেকে কর্মী সরিয়ে নেওয়ার এ কার্যক্রম শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই কিছু আমেরিকানকে এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইরাকের কিছু মার্কিন স্থাপনায় ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন আলোচনা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে স্থগিত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

সিবিএস-কে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ রোববার (১৫ জুন) ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন। উইটকফ মাস্কাটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে দেখা করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আমরা আমাদের সকল দূতাবাসে কর্মীদের অবস্থান ক্রমাগত মূল্যায়ন করছি। আমাদের সর্বশেষ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আমরা ইরাকে আমাদের মিশন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করুক তা তারা কিছুতেই চায় না। এ জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়।

আলোচনায় প্রস্তাব আসে, সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধের বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সে সঙ্গে হুমকি আসে, আলোচনা ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না।

এ পরিস্থিতিতে পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে বলেছেন, সংঘাত বাঁধলে দেশটি আশপাশের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে।

সেসব ঘাঁটি কোন দেশে অবস্থিত সেটাও বিবেচনা করবে না আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেশ। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোনো সংঘাত বাধে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারণ তাদের সব সামরিক ঘাঁটিই আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।