০১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

জেলেদের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির মাছ ‘টিয়া পাখি’

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • 30

ছবি: সংগৃহীহ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ইলিশের সঙ্গে টিয়া পাখি সদৃশ চারটি বিরল প্রজাতির মাছ শিকার করেছেন জেলেরা। মাছগুলো দেখতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জেলেরা ভিড় করেন আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের খান ফিশ আড়তে।

জানা গেছে চট্রগ্রামের বাঁশখালীর আহম্মেদ শফির মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দয়া-৪ ট্রলারে গতকাল রাতে বাঁশখালী থেকে ১৭ জেলে নিয়ে মাছ শিকারের জন্য পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুয়াকাটার কাছাকাছি আসার পর ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা দেয় জালে। মাছগুলো নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসার পর শ্রমিকদের মাধ্যমে ট্রলার থেকে সব মাছ আনলোড করা হয় খান ফিশ আড়তে।

এ সময় একে একে চারটি মাছ টিয়া পাখির মতো দেখতে হওয়ায় মানুষের মাঝে হৈচৈ পড়ে যায়।

টিয়া পাখির মতো দেখতে ওই চারটি মাছের ওজন ৫ কেজি। পরে বড় পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামের মাধ্যমে ৫০০ টাকা কেজি দরে এ মাছগুলো ক্রয় করেন আব্দুল্লাহ নামের এক পাইকারী মাছ ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, ‘আমি মাছগুলো ক্রয় করা পোয়া মাছের সঙ্গে বিক্রি করতে না পারলেও এটি সামুদ্রিক তেলাপিয়া বলে বিক্রি করতে পারব।

তবে মাছগুলো ক্ষতিকারক বলে মনে হয়নি। এটি বিক্রি করা যাবে এবং খাওয়াও যাবে।’

আরো পড়ুন: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে দুই সন্তানের জননী!

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘সামুদ্রিক এই মাছগুলো প্রথমে ১৯৯৫ সালে শনাক্ত করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মাছগুলোকে টিয়া পাখি মাছ বা জেলেদের ভাষায় সামুদ্রিক তেলাপিয়া বলা হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার।

মাছগুলো সচরাচার বাংলাদেশে দেখা যায় না। এসব মাছ ওমানের মধ্য থেকে দক্ষিণ উপকূলী সমুদ্র সীমায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন, বিচরণ এবং উৎপাদন বাড়ার কারণেই মাছগুলো বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় এসে পড়ে।’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

জেলেদের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির মাছ ‘টিয়া পাখি’

সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ইলিশের সঙ্গে টিয়া পাখি সদৃশ চারটি বিরল প্রজাতির মাছ শিকার করেছেন জেলেরা। মাছগুলো দেখতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জেলেরা ভিড় করেন আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের খান ফিশ আড়তে।

জানা গেছে চট্রগ্রামের বাঁশখালীর আহম্মেদ শফির মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দয়া-৪ ট্রলারে গতকাল রাতে বাঁশখালী থেকে ১৭ জেলে নিয়ে মাছ শিকারের জন্য পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুয়াকাটার কাছাকাছি আসার পর ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা দেয় জালে। মাছগুলো নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসার পর শ্রমিকদের মাধ্যমে ট্রলার থেকে সব মাছ আনলোড করা হয় খান ফিশ আড়তে।

এ সময় একে একে চারটি মাছ টিয়া পাখির মতো দেখতে হওয়ায় মানুষের মাঝে হৈচৈ পড়ে যায়।

টিয়া পাখির মতো দেখতে ওই চারটি মাছের ওজন ৫ কেজি। পরে বড় পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামের মাধ্যমে ৫০০ টাকা কেজি দরে এ মাছগুলো ক্রয় করেন আব্দুল্লাহ নামের এক পাইকারী মাছ ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, ‘আমি মাছগুলো ক্রয় করা পোয়া মাছের সঙ্গে বিক্রি করতে না পারলেও এটি সামুদ্রিক তেলাপিয়া বলে বিক্রি করতে পারব।

তবে মাছগুলো ক্ষতিকারক বলে মনে হয়নি। এটি বিক্রি করা যাবে এবং খাওয়াও যাবে।’

আরো পড়ুন: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে দুই সন্তানের জননী!

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘সামুদ্রিক এই মাছগুলো প্রথমে ১৯৯৫ সালে শনাক্ত করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মাছগুলোকে টিয়া পাখি মাছ বা জেলেদের ভাষায় সামুদ্রিক তেলাপিয়া বলা হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার।

মাছগুলো সচরাচার বাংলাদেশে দেখা যায় না। এসব মাছ ওমানের মধ্য থেকে দক্ষিণ উপকূলী সমুদ্র সীমায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন, বিচরণ এবং উৎপাদন বাড়ার কারণেই মাছগুলো বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় এসে পড়ে।’