হানিমুনে যাওয়ার জন্য টাকা না পেয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে এক নবদম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় পুলিশ। তারা জানিয়েছে, পাঞ্জাবের আদিল টাউনের বাসিন্দা সাজিদ (৩৪) প্রায় আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে (৩০) বিয়ে করেছিলেন।
হানিমুনের টাকা
জানা যায়, ঈদের পর মধুচন্দ্রিমার (হানিমুন) জন্য ওই দম্পতি নারানে (পাকিস্তানের একটি পর্যটনকেন্দ্র) যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য সাজিদ তার বড় ভাই ফাহাদ এবং জাহিদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে সাজিদ তার স্ত্রী রাজিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি রেলক্রসিংয়ে যান। পরে সে তার ভাই জাহিদকে ফোন করে বলেন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। আমাদের মৃতদেহগুলো নিয়ে যেও।
ফোন কলের পরই সাজিদ ও তার স্ত্রী রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। ঠিক সেই মুহূর্তে লাহোর থেকে করাচিগামী বন্দর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে পৌঁছায় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন। মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। সাজিদের বড় ভাই জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পথচারীদের সহায়তায় তাদের দেহাবশেষ সংগ্রহ করেন। পথচারীরা পুলিশে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে মিল্লাত টাউন পুলিশ। তারা জানায়, মৃত ব্যক্তি একটি পাওয়ার লুমে কাজ করতেন এবং আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে বিয়ে করেছিলেন। সাজিদ হানিমুনের জন্য যে টাকা চেয়েছিলেন, তার ভাইয়েরা তা দিতে না পারায় হতাশ হয়ে এ দম্পতি আত্মহত্যা করেন।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ওই দম্পতিকে আলাদা থাকতে বাধ্য করেছিল তাদের পরিবার।