মাত্র দুদিন পরেই ঈদুল আজহা। এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে সারা দেশের পশুর হাটগুলো। প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
কোরআন ও হাদিসে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কোরবানি করুন’। (সুরা কাউসার, আয়াত, ২)
ধর্মের রীতি-নীতি অনুযায়ী কোরবানিতে শরিক করার প্রচলন রয়েছে। যেমন উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে বা সাতের কমে যেকোনো ভাগে কোরবানি করা যায় (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)।
তবে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা একভাগেই কোরবানি করতে হবে।
কোরবানিতে কাউকে শরিক করার ক্ষেত্রেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে অংশীদার নির্বাচন। প্রত্যেককে ভালোভাবে জেনে-বুঝে অংশীদার নিতে হবে। কারণ শরিকের কারও নিয়ত গলদ হলে কারও কোরবানিই (অন্য শরিকদের কারও কোরবানি) শুদ্ধ হবে না।
আরও পড়ুন : গরুর নাম পরীমণি, কত চাইছেন বিক্রেতা
কেউ আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে তাহলে তার কোরবানি সহীহ হবে না।
আবার কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে কেউ কোরবানি দেন তাহলে সেই কোরবানিও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
কেননা ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র; শুধুমাত্র পবিত্রটাই তিনি গ্রহণ করেন…।’ (তিরমিজি: ২৯৮৯) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ব্যয় কর তোমাদের অর্জিত হালাল সম্পদ থেকে।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)