২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এটি দেশের ৫৪তম এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার ও অর্থ উপদেষ্টার প্রথম বাজেট।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেওয়া বক্তৃতায় প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক বীজ আমদানি ছাড়াও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম বাড়বে।
এতে বলা হয়, সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক আরোপিত আছে। অন্যদিকে তামাক বীজ আমদানিতে প্রযোজ্য কাস্টমস ডিউটি ০%, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগের এইচএস কোড বিভাজন করে তামাক বীজের জন্য নতুন এইচএস কোড সৃজন করা হবে, যা আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি আরোপ করা যায়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের শুল্ক কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। এতে সিগারেটের দাম আরেক দফা বাড়বে।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আয়ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেবে এবং সেগুলো বিবেচনায় রেখে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।