০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

যে দেশে কোরবানির পশুর সর্বনিম্ন দাম ৪ লাখ টাকা, প্রবাসীরা বিপাকে

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • 41

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর দুবাই। তবে হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে এবছর কোরবানির পশুর দাম। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর বাজারে গরুর দাম শুরুই হয়েছে ১২ হাজার দিরহাম থেকে ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা) চলতি বছর দাম বেড়ে গেছে ৬০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে মধ্যবিত্ত ও প্রবাসী মুসলমানদের কোরবানি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

বাজারে গরুর দাম শুরুই ৪ লাখ টাকা

আমিরাত প্রবাসী ভারতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজম জানান, ২০২৩ সালে তিনি একটি সোমালি ষাঁড় কিনেছিলাম মাত্র ৬ হাজার দিরহামে (প্রায় ২ লাখ টাকা)। এবার একই আকারের পশুর দাম শুরুই হচ্ছে ১০ হাজার দিরহাম থেকে।

একই অভিজ্ঞতা হয়েছে পাকিস্তানি প্রবাসী আবদুল শুকুরেরও। তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে এক হাজার ৬০০ দিরহামে (প্রায় ৫২ হাজার টাকা) ছাগল কিনেছিলাম, এবার সেই আকারের ছাগলের দাম উঠেছে দুই হাজার ৮০০ দিরহামে (প্রায় ৯২ হাজার টাকা)।’ খবর খালিজ টাইমসের

দুবাইয়ের আল-কুসাইস পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে পশুগুলোর দাম কিছুটা এমন। সোমালি ছাগল (১৫ কেজি ওজনের): শুরু ১,২০০ দিরহাম (প্রায় ৪০ হাজার টাকা), ভারতীয় ছাগল (২৫ কেজি): ২,৮০০ দিরহামের বেশি (প্রায় ৯২ হাজার টাকা), পাকিস্তানি ছাগল (২২ কেজি): শুরু ২,৫০০ দিরহাম (প্রায় ৮২ হাজার টাকা), ষাঁড় (৩৫০–৪০০ কেজি): শুরু ৯,০০০ দিরহাম (প্রায় ৩ লাখ টাকা), বড় ষাঁড় (৪৫০ কেজির বেশি): শুরু ১২,০০০ দিরহাম (প্রায় ৪ লাখ টাকা)।

আরও পড়ুন : আরব আমিরাতে ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, অতঃপর…

মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী: পাকিস্তানি পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উসমান জানান, পশু সরবরাহকারীদের খরচ ব্যাপক হারে বেড়েছে। ‘খাদ্য, পরিবহন, শুল্ক— সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান থেকে পশু আনা এখন আগের চেয়ে অনেক ব্যয়বহুল।’

অন্য এক বিক্রেতা লালা খান বলেন, ‘আগে ছাগল ৫০০-৭০০ দিরহামে বিক্রি করতাম। এখন ছোট সোমালি ছাগলও ১,২০০ দিরহামের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা ক্ষুব্ধ, কিন্তু আমাদের হাতেও উপায় নেই।’

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, ততই চাহিদা বাড়ছে এবং দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আগেই বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

যে দেশে কোরবানির পশুর সর্বনিম্ন দাম ৪ লাখ টাকা, প্রবাসীরা বিপাকে

সর্বশেষ আপডেট : ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর দুবাই। তবে হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে এবছর কোরবানির পশুর দাম। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর বাজারে গরুর দাম শুরুই হয়েছে ১২ হাজার দিরহাম থেকে ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা) চলতি বছর দাম বেড়ে গেছে ৬০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে মধ্যবিত্ত ও প্রবাসী মুসলমানদের কোরবানি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

বাজারে গরুর দাম শুরুই ৪ লাখ টাকা

আমিরাত প্রবাসী ভারতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজম জানান, ২০২৩ সালে তিনি একটি সোমালি ষাঁড় কিনেছিলাম মাত্র ৬ হাজার দিরহামে (প্রায় ২ লাখ টাকা)। এবার একই আকারের পশুর দাম শুরুই হচ্ছে ১০ হাজার দিরহাম থেকে।

একই অভিজ্ঞতা হয়েছে পাকিস্তানি প্রবাসী আবদুল শুকুরেরও। তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে এক হাজার ৬০০ দিরহামে (প্রায় ৫২ হাজার টাকা) ছাগল কিনেছিলাম, এবার সেই আকারের ছাগলের দাম উঠেছে দুই হাজার ৮০০ দিরহামে (প্রায় ৯২ হাজার টাকা)।’ খবর খালিজ টাইমসের

দুবাইয়ের আল-কুসাইস পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে পশুগুলোর দাম কিছুটা এমন। সোমালি ছাগল (১৫ কেজি ওজনের): শুরু ১,২০০ দিরহাম (প্রায় ৪০ হাজার টাকা), ভারতীয় ছাগল (২৫ কেজি): ২,৮০০ দিরহামের বেশি (প্রায় ৯২ হাজার টাকা), পাকিস্তানি ছাগল (২২ কেজি): শুরু ২,৫০০ দিরহাম (প্রায় ৮২ হাজার টাকা), ষাঁড় (৩৫০–৪০০ কেজি): শুরু ৯,০০০ দিরহাম (প্রায় ৩ লাখ টাকা), বড় ষাঁড় (৪৫০ কেজির বেশি): শুরু ১২,০০০ দিরহাম (প্রায় ৪ লাখ টাকা)।

আরও পড়ুন : আরব আমিরাতে ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, অতঃপর…

মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী: পাকিস্তানি পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উসমান জানান, পশু সরবরাহকারীদের খরচ ব্যাপক হারে বেড়েছে। ‘খাদ্য, পরিবহন, শুল্ক— সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান থেকে পশু আনা এখন আগের চেয়ে অনেক ব্যয়বহুল।’

অন্য এক বিক্রেতা লালা খান বলেন, ‘আগে ছাগল ৫০০-৭০০ দিরহামে বিক্রি করতাম। এখন ছোট সোমালি ছাগলও ১,২০০ দিরহামের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা ক্ষুব্ধ, কিন্তু আমাদের হাতেও উপায় নেই।’

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, ততই চাহিদা বাড়ছে এবং দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আগেই বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।