০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

কোরবানির পশুর যেসব অংশ খাওয়া নিষেধ

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৩:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • 43

একমাত্র মহান আল্লাহর খুশির জন্য কোরবানি দেওয়া হয়। একজন সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সাথে তা পালন করো।’ (ইবন মাজাহ)

তবে যেকোনো ইবাদত সহিহ ও কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে তা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য হতে হবে। আর ইসলামি শরিয়ত নিধার্রিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী তা করা। কোরবানির ক্ষেত্রে এ দুটি শর্ত সমানভাবে মানতে হবে।

বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭)

কোরবানির পশু খাওয়া কি জায়েজ

আমাদের সমাজে অনেকে পশু কোরবানি দেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যান। এমন হলে কোরবানির পশু খাওয়া কি জায়েজ হবে?

এর উত্তর হচ্ছে, ইচ্ছেকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি জায়েজ হবে না। তবে যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কোরবানি হয়ে যাবে। কোরবানির পশুর গোশত খাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। (হেদায়া আখিরাইন: ৪১৯)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া হালাল নয়। এর অন্যতম হলো হালাল প্রাণীর রক্ত খাওয়া, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

আরও পড়ুন : কত টাকা থাকলে আপনার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে?

এ প্রসঙ্গে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো- ১. প্রবাহিত রক্ত। ২. অণ্ডকোষ। ৩. চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি। ৪. মূত্রথলি। ৫. পিত্ত। ৬. নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

হাদিসের অনুসরণে প্রিয় নবী (সা.)-এর অপছন্দনীয় পশুর নির্ধারিত অংশগুলো না খাওয়াই উত্তম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

কোরবানির পশুর যেসব অংশ খাওয়া নিষেধ

সর্বশেষ আপডেট : ০৩:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

একমাত্র মহান আল্লাহর খুশির জন্য কোরবানি দেওয়া হয়। একজন সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সাথে তা পালন করো।’ (ইবন মাজাহ)

তবে যেকোনো ইবাদত সহিহ ও কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে তা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য হতে হবে। আর ইসলামি শরিয়ত নিধার্রিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী তা করা। কোরবানির ক্ষেত্রে এ দুটি শর্ত সমানভাবে মানতে হবে।

বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭)

কোরবানির পশু খাওয়া কি জায়েজ

আমাদের সমাজে অনেকে পশু কোরবানি দেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যান। এমন হলে কোরবানির পশু খাওয়া কি জায়েজ হবে?

এর উত্তর হচ্ছে, ইচ্ছেকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি জায়েজ হবে না। তবে যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কোরবানি হয়ে যাবে। কোরবানির পশুর গোশত খাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। (হেদায়া আখিরাইন: ৪১৯)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া হালাল নয়। এর অন্যতম হলো হালাল প্রাণীর রক্ত খাওয়া, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

আরও পড়ুন : কত টাকা থাকলে আপনার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে?

এ প্রসঙ্গে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো- ১. প্রবাহিত রক্ত। ২. অণ্ডকোষ। ৩. চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি। ৪. মূত্রথলি। ৫. পিত্ত। ৬. নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

হাদিসের অনুসরণে প্রিয় নবী (সা.)-এর অপছন্দনীয় পশুর নির্ধারিত অংশগুলো না খাওয়াই উত্তম।