সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অন্তত ১৫ মিনিট নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। এই ‘মি টাইমে’ অভ্যাস করুন মেডিটেশন। সকাল সকাল ধ্যান করলে কাজে মনযোগ এবং একাগ্রতা দুটোই বাড়বে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট ১৫ মেডিটেশন করলে এবং রোজ এই অভ্যাস করতে পারলে আপনার স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রাও অনেকটা কমবে। ফলে সারাদিনের কাজকর্ম ভালভাবে করতে পারবেন আপনি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু একসারসাইজ করা জরুরি। তবে সকালে উঠেই খুব ভারী একসারসাইজ না করে বরং হাল্কা ফ্রি-হ্যান্ড কিংবা যোগাসন অভ্যাস করতে পারলে উপকার অনেক বেশি।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি হাঁটতে যেতে পারেন। বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় হাঁটাচলা, দৌড়ানো, জগিং করা সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। সারাদিন আপনাকে ভরপুর এনার্জি দেবে এইসব অভ্যাস। চাঙ্গা রাখবে।
সারাদিন আপনি যা যা কাজ করবেন বলে ভেবেছেন সেটা সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরিকল্পনা করে ফেলুন। প্রয়োজনে একটা জায়গায় পয়েন্ট করে লিখে রাখুন। এতে কাজ করতে সুবিধা হবে।
কোন কাজ কখন করবেন, সময় অনুসারে তা আগে থেকেই ছকে রাখুন। তাহলে সময়ের কাজ সময়েই শেষ হবে। অতিরিক্ত চাপ নিতে হবে না আপনাকে। অতএব সারাদিন কখন কোন কাজ করবেন তার পরিকল্পনা সকাল সকাল করে ফেলা জরুরি।
আরো পড়ুন: দেশি ফল কালোজাম, পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জেনে অবাক হবেন
ঘুম থেকে উঠেই চা-কফি নিয়ে না বসে বরং কোনও একটা স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন। লেবু-মধু মেশানো গরম জল খেতে পারেন। এছাড়াও সকালে খালি পেটে খেতে পারেন খোসা ছাড়ানো আমন্ড।
ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নেওয়ার অভ্যাস থাকা ভাল। তবে বিছানা ছেড়ে সঙ্গে সঙ্গেই স্নান করতে যাবেন না। এর জেরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আশপাশের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরকে খাপ খাইয়ে নিন। তারপর স্নানে যান।
হেলদি মর্নিং রুটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হল সঠিক ভাবে ব্রেকফাস্ট করা। স্বাস্থ্যকর, সহজপাচ্য এবং পেট ভরানোর খাবার খেতে হবে ব্রেকফাস্টে।
যেদিন হাতে কাজ বেশি থাকবে সেদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় মাত্র ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠতে পারলেই ‘টাইম ম্যানেজমেন্টে’ আর সমস্যা হবে না আপনার।