০৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, হলো যেসব আলোচনা

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৯:২২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • 32

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক। সৌজন্য ছবি

সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

একইসঙ্গে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রদানের দাবিও করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনায়’ অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব দাবি জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠকটি সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নয়, বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি।

মূলত বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্যে বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পস্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করে আসছে।

আরও পড়ুন : ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পারিবারিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, এ জন্য আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সবচেয়ে বেশি বিএনপির। এই বিচার প্রক্রিয়া কোনোভাবে অসম্পন্ন থেকে গেলে বিএনপি সরকারের দায়িত্বে গেলেও বিচারের আওতায় এনে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে।

বিএনপি জানায়, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।

তাই যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, বিএনপি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায় দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপরে বর্তাবে।

 

কী বলছে বিএনপি

এর আগে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের আলোচনা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার রোডম্যাপ নিয়ে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য ও দ্রুত নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আজকের আলোচনায় এটি কীভাবে এবং কত দ্রুত সম্ভব—সেই বিষয়েই কথা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এই বৈঠকের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক এজেন্ডার প্রয়োজন নেই।’

‘বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন হলো—আমরা কীভাবে এগোব এবং কীভাবে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রে ফিরতে পারব।’

বিএনপি নেতা বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ‘এটাই কেন্দ্রীয় বিষয় এবং আমি নিশ্চিত আজকের আলোচনায় তা আসবে।’

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইচ্ছা নিয়ে প্রকাশিত খবরে দেশ সংকটে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, বিএনপি এই পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে দেখছে না।

 

আরও পড়ুন : বৈঠকের পর যে বিবৃতি দিলেন উপদেষ্টা পরিষদ


তিনি বলেন, দেশের এখন সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ—যা একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে।

এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি, তা কাটিয়ে উঠতে পারি।

গত ১৬ বছরে জনগণের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে খসরু বলেন, তারা এখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিএনপি কি আগের বৈঠকে অসন্তোষের পর এবার সন্তুষ্ট হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ‘এটা আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় নয়।’

‘আমরা রাজনীতি করি জনগণের সন্তুষ্টির জন্য। আমরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাই। জনগণ চায় তাদের ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করতে—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

 

ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন?

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইঙ্গিত দেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই হতে পারে। আমরা কেন ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব?

অন্য এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের চলমান সংকট ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হলো গণতান্ত্রিক রূপান্তর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৫ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্রের অধীনে ছিল। তাই এখন একমাত্র সমাধান গণতন্ত্রে রূপান্তর। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।’

গত ৯ মাসের ঘটনাপ্রবাহ প্রসঙ্গে জাতির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার গান গাইতে শুরু করেছে—৫ আগস্টের রূপান্তরমূলক ঘটনার পর থেকে।

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছিল প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন—১৫ বছরের জুলুম ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির দিন। এটি ছিল গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সূচনা… এই রূপান্তরই বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র

পথ।

‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই সত্য উপলব্ধি করতে হবে, বুঝতে হবে ও গ্রহণ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, হলো যেসব আলোচনা

সর্বশেষ আপডেট : ০৯:২২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

একইসঙ্গে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রদানের দাবিও করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনায়’ অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব দাবি জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠকটি সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নয়, বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি।

মূলত বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্যে বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পস্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করে আসছে।

আরও পড়ুন : ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পারিবারিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, এ জন্য আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সবচেয়ে বেশি বিএনপির। এই বিচার প্রক্রিয়া কোনোভাবে অসম্পন্ন থেকে গেলে বিএনপি সরকারের দায়িত্বে গেলেও বিচারের আওতায় এনে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে।

বিএনপি জানায়, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।

তাই যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, বিএনপি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায় দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপরে বর্তাবে।

 

কী বলছে বিএনপি

এর আগে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের আলোচনা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার রোডম্যাপ নিয়ে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য ও দ্রুত নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আজকের আলোচনায় এটি কীভাবে এবং কত দ্রুত সম্ভব—সেই বিষয়েই কথা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এই বৈঠকের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক এজেন্ডার প্রয়োজন নেই।’

‘বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন হলো—আমরা কীভাবে এগোব এবং কীভাবে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রে ফিরতে পারব।’

বিএনপি নেতা বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ‘এটাই কেন্দ্রীয় বিষয় এবং আমি নিশ্চিত আজকের আলোচনায় তা আসবে।’

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইচ্ছা নিয়ে প্রকাশিত খবরে দেশ সংকটে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, বিএনপি এই পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে দেখছে না।

 

আরও পড়ুন : বৈঠকের পর যে বিবৃতি দিলেন উপদেষ্টা পরিষদ


তিনি বলেন, দেশের এখন সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ—যা একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে।

এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি, তা কাটিয়ে উঠতে পারি।

গত ১৬ বছরে জনগণের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে খসরু বলেন, তারা এখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিএনপি কি আগের বৈঠকে অসন্তোষের পর এবার সন্তুষ্ট হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ‘এটা আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় নয়।’

‘আমরা রাজনীতি করি জনগণের সন্তুষ্টির জন্য। আমরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাই। জনগণ চায় তাদের ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করতে—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

 

ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন?

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইঙ্গিত দেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই হতে পারে। আমরা কেন ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব?

অন্য এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের চলমান সংকট ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হলো গণতান্ত্রিক রূপান্তর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৫ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্রের অধীনে ছিল। তাই এখন একমাত্র সমাধান গণতন্ত্রে রূপান্তর। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।’

গত ৯ মাসের ঘটনাপ্রবাহ প্রসঙ্গে জাতির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার গান গাইতে শুরু করেছে—৫ আগস্টের রূপান্তরমূলক ঘটনার পর থেকে।

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছিল প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন—১৫ বছরের জুলুম ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির দিন। এটি ছিল গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সূচনা… এই রূপান্তরই বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র

পথ।

‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই সত্য উপলব্ধি করতে হবে, বুঝতে হবে ও গ্রহণ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।