১০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ঘনঘন জ্বর, ক্লান্তি, ঘুমঘুম ভাব- বড় কোন রোগের লক্ষণ নয়তো ?

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৪:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • 25

ছবি: সংগৃহীত

হেপাটাইটিস দু’ধরনের হতে পারে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস এবং ক্রনিক হেপাটাইটিস। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, যথেচ্ছ মদ্যপানের অভ্যাস, বেহিসেবি খাদ্যাভ্যাস লিভারের অসুখ ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট।

হেপাটাইটিস- এ রোগের নাম শুনলেই আতঙ্ক ধরে যায়। কারণ বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই হেপাটাইটিস এমন সময় ধরা পড়ে যে তখন আর রোগ সারানোর উপায় থাকে না। অথচ হেপাটাইটিস যদি সঠিক সময়ে ধরা পড়ে, তাহলে এই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। কিন্তু এই রোগের বৈশিষ্ট্যই এমন যে সহজে ধরা পড়তে চায় না। হেপাটাইটিস আসলে লিভারের অসুখ। এই রোগ হলে, লিভার ফুলে যেতে পারে।

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। খাবার হজম করানোর পাশাপাশি লিভারের আরও একটি কাজ রক্ত পরিশ্রুত করা। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, যথেচ্ছ মদ্যপানের অভ্যাস, বেহিসেবি খাদ্যাভ্যাস লিভারের অসুখ ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট।

সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক অনুসারে হেপাটাইটিস লিভারের প্রদাহজনিত সমস্যা। ভাইরাল ইনফেকশনের থেকে এই রোগ শুরু হয়। এর ফলে লিভার ক্যান্সার, লিভার ফেলিওরের মতো একাধিক গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিস দু’ধরনের হতে পারে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস এবং ক্রনিক হেপাটাইটিস।

আরো পড়ুন: বিয়ের আগে হবু বর-কনের যে ৪ টেস্ট করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

অ্যাকিউট হেপাটাইটিস- এই হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ আচমকা দেখা যায়। ৬ মাসের মধ্যে এই ধরনের হেপাটাইটিস ঠিক হয়ে যেতে পারে। এই অ্যাকিউট হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে জ্বর, ক্লান্তি ভাব, পেটে ব্যথা এইসব লক্ষণ দেখা যায় কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য। তারপর ঠিক হয়ে যায়।

ক্রনিক হেপাটাইটিস- এই ধরনের হেপাটাইটিস দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। ৬ মাস বা তার চেয়ে বেশি সময়। ক্রনিক হেপাটাইটিসের ফলে ধীরে ধীরে শরীর অসুস্থ হতে থাকে। লিভার ক্রমশ বিকল হতে থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে লিভার ক্যান্সার কিংবা লিভার ফেলিওরের মতো রোগ হতে পারে।

হেপাটাইটিসের লক্ষণ

শুরুর দিকে হেপাটাইটিসের লক্ষণ বা উপসর্গ খুব মৃদু থাকে, মানে এতটাই কম থাকে যে, সহজে ধরা পড়ে না। আর তাতেই দ্রুত শরীর খারাপ হতে পারে। হেপাটাইটিসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি ভাব, দুর্বলতা, জ্বর, খিদে না পাওয়া, খাবারে অনীহা, ডায়েরিয়া, পেটের সমস্যা, পেট ব্যথা। হেপাটাইটিস হলে শুরুর দিকে এইসব লক্ষণই দেখা দেয়। যদি হেপাটাইটিসের সমস্যা অনেকদিন ধরে থাকে তাহলে অন্য ধরনের কিছু লক্ষণ দেখা যায়। কথা ভুলে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব, প্রস্রাবের গাঢ় রং, ত্বকে চুলকানি, ত্বকে হলদে ভাব, চোখের সাদা অংশে হলদে ভাব- এইসব লক্ষণ দেখা যায় হেপাটাইটিস অনেকদিন ধরে শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে।

হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে হলে পরিশুদ্ধ জল খাওয়ার দিকে নজর দিন। জল ফুটিয়ে খেতে পারেন। নাহলেও ফিল্টারের পরিশুদ্ধ জল খান। বাইরে খোলা পড়ে থাকা খাবার, মানে স্ট্রিট ফুড এড়িয়ে চলুন। হেপাটাইটিসের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনও রয়েছে। হেপাটাইটিস হয়েছে এমন রোগীর সংস্পর্শে থাকলে তাঁর দাঁত মাজার ব্রাশ, দাড়ি কাটার রেজার এগুলি ব্যবহার করবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ঘনঘন জ্বর, ক্লান্তি, ঘুমঘুম ভাব- বড় কোন রোগের লক্ষণ নয়তো ?

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

হেপাটাইটিস দু’ধরনের হতে পারে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস এবং ক্রনিক হেপাটাইটিস। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, যথেচ্ছ মদ্যপানের অভ্যাস, বেহিসেবি খাদ্যাভ্যাস লিভারের অসুখ ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট।

হেপাটাইটিস- এ রোগের নাম শুনলেই আতঙ্ক ধরে যায়। কারণ বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই হেপাটাইটিস এমন সময় ধরা পড়ে যে তখন আর রোগ সারানোর উপায় থাকে না। অথচ হেপাটাইটিস যদি সঠিক সময়ে ধরা পড়ে, তাহলে এই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। কিন্তু এই রোগের বৈশিষ্ট্যই এমন যে সহজে ধরা পড়তে চায় না। হেপাটাইটিস আসলে লিভারের অসুখ। এই রোগ হলে, লিভার ফুলে যেতে পারে।

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। খাবার হজম করানোর পাশাপাশি লিভারের আরও একটি কাজ রক্ত পরিশ্রুত করা। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, যথেচ্ছ মদ্যপানের অভ্যাস, বেহিসেবি খাদ্যাভ্যাস লিভারের অসুখ ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট।

সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক অনুসারে হেপাটাইটিস লিভারের প্রদাহজনিত সমস্যা। ভাইরাল ইনফেকশনের থেকে এই রোগ শুরু হয়। এর ফলে লিভার ক্যান্সার, লিভার ফেলিওরের মতো একাধিক গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিস দু’ধরনের হতে পারে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস এবং ক্রনিক হেপাটাইটিস।

আরো পড়ুন: বিয়ের আগে হবু বর-কনের যে ৪ টেস্ট করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

অ্যাকিউট হেপাটাইটিস- এই হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ আচমকা দেখা যায়। ৬ মাসের মধ্যে এই ধরনের হেপাটাইটিস ঠিক হয়ে যেতে পারে। এই অ্যাকিউট হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে জ্বর, ক্লান্তি ভাব, পেটে ব্যথা এইসব লক্ষণ দেখা যায় কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য। তারপর ঠিক হয়ে যায়।

ক্রনিক হেপাটাইটিস- এই ধরনের হেপাটাইটিস দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। ৬ মাস বা তার চেয়ে বেশি সময়। ক্রনিক হেপাটাইটিসের ফলে ধীরে ধীরে শরীর অসুস্থ হতে থাকে। লিভার ক্রমশ বিকল হতে থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে লিভার ক্যান্সার কিংবা লিভার ফেলিওরের মতো রোগ হতে পারে।

হেপাটাইটিসের লক্ষণ

শুরুর দিকে হেপাটাইটিসের লক্ষণ বা উপসর্গ খুব মৃদু থাকে, মানে এতটাই কম থাকে যে, সহজে ধরা পড়ে না। আর তাতেই দ্রুত শরীর খারাপ হতে পারে। হেপাটাইটিসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি ভাব, দুর্বলতা, জ্বর, খিদে না পাওয়া, খাবারে অনীহা, ডায়েরিয়া, পেটের সমস্যা, পেট ব্যথা। হেপাটাইটিস হলে শুরুর দিকে এইসব লক্ষণই দেখা দেয়। যদি হেপাটাইটিসের সমস্যা অনেকদিন ধরে থাকে তাহলে অন্য ধরনের কিছু লক্ষণ দেখা যায়। কথা ভুলে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব, প্রস্রাবের গাঢ় রং, ত্বকে চুলকানি, ত্বকে হলদে ভাব, চোখের সাদা অংশে হলদে ভাব- এইসব লক্ষণ দেখা যায় হেপাটাইটিস অনেকদিন ধরে শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে।

হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে হলে পরিশুদ্ধ জল খাওয়ার দিকে নজর দিন। জল ফুটিয়ে খেতে পারেন। নাহলেও ফিল্টারের পরিশুদ্ধ জল খান। বাইরে খোলা পড়ে থাকা খাবার, মানে স্ট্রিট ফুড এড়িয়ে চলুন। হেপাটাইটিসের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনও রয়েছে। হেপাটাইটিস হয়েছে এমন রোগীর সংস্পর্শে থাকলে তাঁর দাঁত মাজার ব্রাশ, দাড়ি কাটার রেজার এগুলি ব্যবহার করবেন না।