০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
জুলাই ছাত্র আন্দোলন

জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 23

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগের ২৫৯ নেতাকর্মীকে ও পুলিশি হামলায় সরাসরি মদত দেওয়ার অভিযোগে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত বছরের ১৪ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে, একই দিন রাত ১২টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলি বর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বেলা ৩টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ শিক্ষক, ২ কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খালি করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গত বছরের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের কার দায় কতটুকু— তা যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্যত্র বদলির আদেশ

পাশাপাশি ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।

৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রক্টর নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার।

তদন্ত কমিটির আওতায় অভিযুক্ত ১০ শিক্ষক হলেন— অধ্যাপক কানন কুমার সেন, পলাশ বাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, জহিরুল ইসলাম খন্দকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, সাইদুর রহমান, আনোয়ার খসরু পারভেজ, মুহিবুর রউফ শৈবাল, এ এ মামুন।

এছাড়াও শিক্ষকদের পাশাপাশি আরও ২ জন অফিসারকে (রাজিব, নাহিদুর) এবং ১ জন কর্মচারীকে (মুজিব হল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা এই আদেশের আওতায় থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

জুলাই ছাত্র আন্দোলন

জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগের ২৫৯ নেতাকর্মীকে ও পুলিশি হামলায় সরাসরি মদত দেওয়ার অভিযোগে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত বছরের ১৪ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে, একই দিন রাত ১২টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলি বর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বেলা ৩টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ শিক্ষক, ২ কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খালি করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গত বছরের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের কার দায় কতটুকু— তা যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্যত্র বদলির আদেশ

পাশাপাশি ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।

৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রক্টর নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার।

তদন্ত কমিটির আওতায় অভিযুক্ত ১০ শিক্ষক হলেন— অধ্যাপক কানন কুমার সেন, পলাশ বাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, জহিরুল ইসলাম খন্দকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, সাইদুর রহমান, আনোয়ার খসরু পারভেজ, মুহিবুর রউফ শৈবাল, এ এ মামুন।

এছাড়াও শিক্ষকদের পাশাপাশি আরও ২ জন অফিসারকে (রাজিব, নাহিদুর) এবং ১ জন কর্মচারীকে (মুজিব হল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা এই আদেশের আওতায় থাকবেন।