০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৮:০২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 15

একাত্তরে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের টাকা ফেরত নেওয়া এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে পাকিস্তানের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করেছি। যেমন—আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা দেওয়া, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো বিদেশি সাহায্যের অর্থ হস্তান্তর এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জসীম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে আলোচনা এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের দাবি করেছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত

তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে বৈঠকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আলোচনা করেছে।

এ ছাড়া বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক মজুবত করতে দ্রুত অনিস্পত্তি ইস্যু সমাধানের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।

আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন বলেও জানিয়েছেন মো. জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ জানিয়েছেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যহত রাখা হবে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করা সম্ভব।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

সর্বশেষ আপডেট : ০৮:০২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

একাত্তরে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের টাকা ফেরত নেওয়া এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে পাকিস্তানের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করেছি। যেমন—আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা দেওয়া, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো বিদেশি সাহায্যের অর্থ হস্তান্তর এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জসীম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে আলোচনা এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের দাবি করেছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত

তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে বৈঠকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আলোচনা করেছে।

এ ছাড়া বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক মজুবত করতে দ্রুত অনিস্পত্তি ইস্যু সমাধানের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।

আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন বলেও জানিয়েছেন মো. জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ জানিয়েছেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যহত রাখা হবে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করা সম্ভব।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।