১২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ঢাকা যেন একখন্ড ফিলিস্তিন

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৩:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 7

ঢাকা যেন একখন্ড ফিলিস্তিন। ছবি: সংগৃহীত

রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। চারদিকে শুধু মিছিলের গর্জন। রাজধানী ঢাকা যেন একখন্ড ফিলিস্তিন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আগে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ নাগরিকদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

সমাবেশে আসা মানুষ গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগতদের সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ও টি-শার্ট বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন নামে এক ব্যাক্তি।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে।

নাজমুল বলেন, কাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

পাশাপাশি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সমাবেশ স্থলে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প ও তথ্য কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।

উল্লেখ্য, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ঢাকা যেন একখন্ড ফিলিস্তিন

সর্বশেষ আপডেট : ০৩:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। চারদিকে শুধু মিছিলের গর্জন। রাজধানী ঢাকা যেন একখন্ড ফিলিস্তিন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আগে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ নাগরিকদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

সমাবেশে আসা মানুষ গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগতদের সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ও টি-শার্ট বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন নামে এক ব্যাক্তি।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে।

নাজমুল বলেন, কাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

পাশাপাশি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সমাবেশ স্থলে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প ও তথ্য কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।

উল্লেখ্য, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।