ঢাকা ডেস্ক 
ঈদুল ফিতরের আগে যেভাবে রোজই ঢাকার বাতাসের মান দূষণে বিশ্বের প্রথম দিকের তালিকায় থাকতো, সেই অবস্থা থেকে এখন কিছুটা উন্নত হয়েছে। বর্তমানে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, বাতাসের মান ৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫৯তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নেপালের কাঠমান্ডু, ভারতের দিল্লি এবং চীনের উহান শহর যথাক্রমে ২১৬, ১৮৬ এবং ১১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আরো পড়ুন: সাগরে লঘুচাপ, সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
