১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধে নামার ঘোষণা ববির মোহন কুমার বসুর

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 15

মোহন কুমার বসু। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি ‍সেনা বাহিনী। হামলার প্রতিবাদে সরব সারা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহন কুমার বসু নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মোহন কুমার বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের উত্তম কুমার বসুর ছেলে।

রোববার (৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন মোহন কুমার বসু।

আরো পড়ৃন: রাতের বৃষ্টিতে কেমন হলো ঢাকার বাতাসের মান

মোহন কুমার বসুর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

স্ট্যাটাসে ববি শিক্ষার্থী মোহন কুমার বসু লিখেছেন, ‘আমি মোহন কুমার বসু, ধর্মে সনাতনী। আমি ওপেন ঘোষণা দিচ্ছি যদি ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যুদ্ধ হয় এবং বাংলাদেশের মুসলমানরা এতে অংশ নেয়, তবে আমি অবশ্যই মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো।’

‘ফিলিস্তিনের প্রতিটি মুসলমান আমার ভাই-বোন। যদি যুদ্ধের ডাক আসে আমি ঘরে বসে থাকবো না। কারণ, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি যে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে সেটা কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না।’

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন  ‘আমার অবস্থান খুবই স্পষ্ট, আমি আগেও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিলাম এখনো আছি, আমি সবসময় ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে আছি।

স্ট্যাটাসে মোহন কুমার বসু আরো  লেখেছেন- আমার স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রিয় বন্ধুরা ছিল মুসলমান। আমার আশেপাশে কাকা, বড়ভাই,ছোটভাই বিভিন্ন সম্পর্কে যাদের ডাকি তারা সকলে মুসলমান এবং আমাকে তাঁরা সকলে খুবই ভালবাসে। আমার মৃত্যুর পরে যারা আমাকে দেখতে আসবে তারা মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাইবোন। আমি বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষকে খুবই ভালবাসি।

তাই যতদিন বেঁচে আছি আমার অবস্থান একটাই, সেটা মুসলমানদের পক্ষ কারন আমি ছোট থেকে অনেক মুসলমানদের ভালবাসা পেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধে নামার ঘোষণা ববির মোহন কুমার বসুর

সর্বশেষ আপডেট : ১১:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি ‍সেনা বাহিনী। হামলার প্রতিবাদে সরব সারা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহন কুমার বসু নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মোহন কুমার বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের উত্তম কুমার বসুর ছেলে।

রোববার (৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন মোহন কুমার বসু।

আরো পড়ৃন: রাতের বৃষ্টিতে কেমন হলো ঢাকার বাতাসের মান

মোহন কুমার বসুর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

স্ট্যাটাসে ববি শিক্ষার্থী মোহন কুমার বসু লিখেছেন, ‘আমি মোহন কুমার বসু, ধর্মে সনাতনী। আমি ওপেন ঘোষণা দিচ্ছি যদি ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যুদ্ধ হয় এবং বাংলাদেশের মুসলমানরা এতে অংশ নেয়, তবে আমি অবশ্যই মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো।’

‘ফিলিস্তিনের প্রতিটি মুসলমান আমার ভাই-বোন। যদি যুদ্ধের ডাক আসে আমি ঘরে বসে থাকবো না। কারণ, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি যে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে সেটা কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না।’

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন  ‘আমার অবস্থান খুবই স্পষ্ট, আমি আগেও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিলাম এখনো আছি, আমি সবসময় ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে আছি।

স্ট্যাটাসে মোহন কুমার বসু আরো  লেখেছেন- আমার স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রিয় বন্ধুরা ছিল মুসলমান। আমার আশেপাশে কাকা, বড়ভাই,ছোটভাই বিভিন্ন সম্পর্কে যাদের ডাকি তারা সকলে মুসলমান এবং আমাকে তাঁরা সকলে খুবই ভালবাসে। আমার মৃত্যুর পরে যারা আমাকে দেখতে আসবে তারা মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাইবোন। আমি বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষকে খুবই ভালবাসি।

তাই যতদিন বেঁচে আছি আমার অবস্থান একটাই, সেটা মুসলমানদের পক্ষ কারন আমি ছোট থেকে অনেক মুসলমানদের ভালবাসা পেয়েছি।