চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। বৈশাখ সমাগত। চৈত্রের কাঠফাটা রোদের সাথে গ্রীষ্মের তাপদাহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এরকম তীব্র গরমের সময় সতর্ক না থাকলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র গরমের কারণে শুধুমাত্র ২০২২ সালে ইউরোপে ৬২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু হিট স্ট্রোক কী? কোন কোন কারণে হিট স্ট্রোক হতে পারে? হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া থেকে কীভাবে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে?
তীব্র গরমে যা হয় মানুষের শরীরে
বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালীগুলো খুলে যায়। এর জের ধরে রক্ত চাপ কমে যায় যে কারণে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
এসব কারণে মৃদু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যার মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া, চুলকানি এবং পা ফুলে যাওয়া যা রক্তনালী উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
এছাড়াও প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়, গুরুতর ক্ষেত্রে দেহে এ-দুটো জিনিসের মধ্যে যে ভারসাম্য আছে তাতেও পরিবর্তন ঘটে।
এসব কিছু একসাথে মিলিয়ে গরমে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যেতে পারে এবং তার লক্ষণগুলো হলো-
- মাথা চক্কর দেওয়া
- বিবমিষা বা বমি বমি ভাব
- নিস্তেজ হয়ে পড়া
- মূর্ছা যাওয়া
- কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া
- পেশি সংকুচিত হওয়া
- মাথা ব্যথা
- প্রচণ্ড ঘাম হওয়া
- ক্লান্তি
এছাড়া রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।